শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ অপরাহ্ন
এম এইচ ফাহাদ-বিশেষ প্রতিনিধি: আজ মজ্ঞলবার সকাল ১১টায় ভোলা জেলা প্রেসক্লাবে মিলনায়তন অনুষ্ঠিত,ভোলা সদর উপজেলার ৪ নং কাচিয়া ইউনিয়ন বাসীর পক্ষথেকে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মালেক ওরফে(মেহেন্দি মালেক)এর নানা অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে নিস্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সন্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষথেকে মেহেদী মালেকের সকল অপকর্মের বিস্তারিত তুলে ধরে অভিযোগে করেন ৪নং কাচিয়া ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম নকীব।
এসময় তিনি সংবাদ সন্মেলনে অভিযোগ করে বলেন,কাচিয়া ইউনিয়নে মালেকের অত্যাচার চাঁদাবাজির ও নানা অপকর্মের কারনে এলাকার মানুষ আতংকিত ও অতিষ্ঠ। মেহেন্দি মালেকের ছত্রছায়ায় কাচিয়া ইউনিয়নে তার নিজের নামকরণ এর মালেকের মোড় নামক স্থানে প্রতিনিয়ত বসে জুয়া ও মাদকের আসর। আর যার নেতৃত্বের নেপথ্যের নায়ক হলো এই মালেক ওরফে(মেহেদী মালেক)।
এছাড়া রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে প্রতিনিয়ত মালেক তার বাহিনী সরকের টোলের নামে দীর্ঘদিন চাঁদাবাজি করে আসছিল। যার যানবাহন চলাচলে অটোরিক্সা(বোরাক) চাঁদাবাবদ ২০টাকা- কেকড়া ট্রলির চাঁদা বাবাদ-২০০টাকা, এবং বড় ট্রাক ট্রলির জন্যে প্রতিনিয়ত গারীর ড্রাইভারদের গুনতে হয় ৫০০ টাকা করে অভিযোগ মালেকের বিরুদ্ধে।
এদিকে গত ১৭ নভেম্বর জৈনিক মাইনুদ্দিন বালির ট্রাক নিয়ে যাওয়ার পথে মালেকের সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে বালির ট্রাকটি পথিমধ্যে গতিরোধ করে এবং ৫শত টাকা চাদাঁদাবি করেন।তবে মাইনুদ্দিন তাকে চাদাঁদিতে অস্বীকৃত জানালে,তাকে মারধর করে এবং ট্রাকটি আটকিয়ে রাখে মালেক সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। পরে উক্ত ঘটনায় এলাকার প্রায় ৫-৬শত লোকজন ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত হয়ে মালেক কে একটি চায়ের দোকানে আটকিয়ে রাখে।এমন খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে পৌছান এবং মালেকের নিরাপত্তা দিয়ে তিনি ভোলা সদর থানার পুলিশকে খবর দিয়ে অভিযুক্ত মালেক কে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন বলেও জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নকীব।
তবে পরবর্তীকালে হাসপাতালে চিকিৎসার নামকরে পুলিশ পাহারা থেকে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসী মালেক ওরফে (মেহেন্দি মালেক)। ইউপি চেয়ারম্যান আরো অভিযোগ করে বলেন-পুলিশের পাহারা থেকে পালিয়ে কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও পরে মালেক আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। গত ২২নভেম্বর কাচিয়া কাঠির মাথায় স্থানীয় মনির মেম্বারের ট্রলার ঘাটে এসে চাদাঁদাবি করেন।
চাঁদা নাপেয়ে সন্ত্রাসী মালেক বাহিনী কয়েকটি দোকান ভাংচুর সহ লুটপাট চালায়।এবং বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রনিয়ে মনির মেম্বারকে হত্যার উদ্দেশ্য ককটেল বোমা বিস্ফারণ করে এলাকায় আতঙ্ক পরিণত করে এই সন্ত্রাসী মালেক। এবিষয়ে উক্ত ঘটনায় বিরুদ্ধে ভোলা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় বলেও সংবাদ সন্মেলনে জানান ৪নং কাচিয়া ইউনিয়নের জনপ্রিয় জনাব চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নকীব।
এসময় সংবাদ সন্মেলনে ভোলার সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রন মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের উপস্থিততে কাচিয়া ইউনিয়নে কুখ্যাত সন্ত্রাসী মালেক ওরফে মেহেন্দী মালেক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে অত্র ইউনিয়নের জনগনের জান-মাল সহ নিত্যকার এসব অপকর্ম থেকে রক্ষাপেতে জেলার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে, মালেক সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার ও শাস্তি দাবি করেন, কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সহ ইউপি সদস্য এবং এলাকার গণ্যমান্য স্থানীয় সাধারন জনগন।
এসময় উক্ত সংবাদ সন্মেলনে ভোলা জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক মো. হাবিবুর রহমান,সাধারন সম্পাদক অমিতাভ অপু রায়, কাচিয়া ইউনিয়নে ইউপি সদস্য আঃরব, শাজাহান মাস্টার, সিরাজ মাল সহ ভোলার সকল গণমাধ্যম কর্মীসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রন মিডিয়া আঞ্চলিক পত্রিকা এবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগন এসময় উপস্থিত ছিলেন।